আগষ্ট মাসের চিঠি-০২
... নাজমুল করিম ফারুক
মেঘশ্রী,
তোমাকে নিয়ে লেখতে গেলে লেখা শেষ হয় না। কিন্তু বেশি লেখাতে বেশি বিভেদ-বিচ্ছেদ ঘটায়। তোমাকে যেন চিঠি না লিখি প্রথম থেকে বারণ করা আছে। আজকের ডিজিটাল (ইমু, হোয়াটঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনবক্সে) যুগে এত লম্বা চিঠি পড়ার ধর্য্য কারো থাকে না। তার পরও লেখতে হয়।
জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশের এক সদস্য প্রকাশ্যে গুলি করে একজন শিশু, নারী, পুরুষ তিনজনে হত্যা করেছিল। সেদিন বিকালেই লেখতে চেয়েছিলাম। যখন লেখতে বসলাম তখন মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে গেল ‘পরীমণির লঙ্কাকান্ড’। কি যে কান্নাকাটি! বোর্ড ক্লাবে উনার সাথে ‘কি যেন’ ঘটে গেছে। যাক পরে আর লেখতে পারলাম না। দীর্ঘদিন আর লেখাতে মন বসেনি। হেলেনা, পিয়াসা, মৌ আর পরীমণিদের রঙ্গশালার দৃশ্যপট লেখার আগ্রহ নিমেষ করে দিয়েছে।
তিন কিংবা চারদিন আগে দুপুর বেলায় দেখলাম পশ্চিম আকাশে রংধনু পাখা মেলেছে। পশ্চিম আকাশে রংধনুর এমন উদয় দ্বিতীয় বারের মতো আমার চোখে পড়েছে। একটা গল্পের ইতিহাসের দৃশ্যপট অনেক ভাবে পরিবর্তন হয়। যেমনটা হচ্ছে আজ। তাই আজ আপনি বলে সম্বোধন করতে যাচ্ছি। কারণ- কথায় কথায় যখন আপনার মুখের ভাষা থেকে বিশ্রী গন্ধ বের হয়; মানুষকে পশুর মতো ভাবতে থাকেন, তখন চেনা মুখটাও অচেনা হয়ে যায়। এটা নতুন কিছু নয়।
শিক্ষা নাকি মানুষকে ভদ্রতা, ন¤্রতা, শিষ্টাচার শেখায়? আপনার সাথে কথা বললে তার লেশমাত্র পাওয়া যায় না। সবচেয়ে বড় কথা কি জানেন? বড় শয়তানগুলোর সাথে ছোট শয়তান যুক্ত হলে এখানে পন্ডিত্বের পাল্লাটা ভারি হয়ে যায়। হাজার হাজার বাটখেরা দিলেও কোন কাজ হয় না। যাক, এদিকে আর যেতে চাই না। আপনার যেমন আমার, আমার সংস্পর্শ সকলের প্রতিটি কথা মনে মনে আছে, তেমনি আপনার ও আপনার সংস্পর্শ সকলের কথাও আমার মনে মনে আছে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবে। ইনশাআল্লাহ।
একটা নতুন খবর না দিলে নিজের ভেতর অতৃপ্তি থেকে যাবে। বেশ কয়েক মাস আগ থেকে নতুন একজনের আগমন ঘটেছে। আমার জরার্জীণ কুটিরের দরজায়। আলিসা। ওরফে আলিসা জেরিন। এখন আমি তাকে নিয়ে খুব ব্যস্ত। এতটাই ব্যস্ত যে, আগামী ৪/৫ মাসের মধ্যে যদি একটা ব্যবস্থা করতে না পারি। তাহলে এতদিন বুকের ডান পাজরে যে ব্যাথাটা অনুভব হয়ে আসছে তা বামপাশেও ছড়িয়ে যাবে।
দোয়া করবেন। মেঘশ্রী নামের মেঘবিহীন আকাশে যেন আলিসা ‘সৎ কিংবা সত্যবাদী’ রূপে আলোকিত হয়।
No comments:
Post a Comment