হৃদয়ে রক্তক্ষরণ : পর্ব-০২
নিগার,
সেন্টমার্টিন। হোটেল প্যারাডাইসের বারান্দা বসে যখন সমুদ্রের সাথে চাঁদের জোসনার মিতালী উপভোগ করতে ছিলাম তখন তুমি আমার ডান ঘাড়ের উপর দুই হাত রেখে কানের কাছে যে আর্তনাথ প্রকাশ করে ছিলে সে কথা নিশ্চয় এখনো ভুলে যাওনি?
সমুদ্রের হিমশীতল বাতাস যখন তোমার শরীরকে ক্রমশ: ক্লান্ত করে ছিল তখন কাঁপতে কাঁপতে আমার শার্টের বোতাম খুলে নিজের মুখটা আমার বুকে লুকিয়ে নিঃশ্বাস নিতে চেয়ে ছিলে। তা কি আজও মনে পড়ে?
গভীর রাত পর্যন্ত আমরা সাগর পাড়ে এক ফুট ব্যবধানে যখন বসে তোমার করুণ জীবনের গল্প আমাকে শোনাতে শোনাতে দূরত্বের ব্যবধান কমিয়ে তোমার ডান হাতটা আমার পিঠের উপর দিয়ে পেটের ডান পাশে রেখে নিজেকে আমার মাঝে বিসর্জন দিতে- এটা মনে হয় কোন কাল্পনিক দৃশ্য নয়?
কি ভুলে গেলে সেই কথা- যার কন্ঠস্বর তোমার কানের পর্দা স্পর্শ না করলে ঘুমতে পারতে না। আমার সেই চিরাচিত স্বভাব ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ না বললে তোমার দু’চোখের পাতা এক হতো না?
নিশ্চয় এটা অবিশ্বাস করবে না- আমিই তোমার জীবদ্দশায় একমাত্র ব্যক্তি ‘যে আঘাত নয় বরং আঘাতের চিহ্নে চুম্বন খেয়ে সুখে এনে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম’। কি ভুলে গেলে সেই কথা? নাকি এসব বাক্য শুধু ভিউয়ার্সের মনোরঞ্জন মাত্র!
যাক, যা মনে করেন। মূল কথায় আসি।
কাউকে সম্বোধন করার পূর্বে একটু ভেবে নিবেন তার সাথে আপনার সর্বশেষ সম্পর্ক কি। তার পর সেই সর্বশেষ সম্পর্কের উপর নির্ভর করে ঐ ব্যক্তিকে সম্বোধন করবেন। কাউকে তিরস্কার করে কিংবা ব্যাঙ্গ করে কথা বলার অধিকার নিশ্চয় কেউ কাউকে দেয় না।